সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
বহু বছর ধরে বেহাল অবস্থা ফতুল্লার তক্কারমাঠ শেহাচর এলাকার সড়কটি। পরিকল্পিত ড্রেনেজ সেই সাথে পানি নিস্কাশনের সু ব্যবস্থা না থাকার কারণে মাঝেমধ্যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় ফতুল্লার ওই সড়কটিতে। জলাবদ্ধতা ছাড়াও রাস্তাটির পিচ উঠে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ তৈরী হয়েছে। ফলে চরম দূর্ভোগে পরতে হচ্ছে ওই সড়কে চলাচলরত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারী কর্মকর্তা ও শিল্প কারখানার শ্রমিকসহ এলাকাবাসীর। এলাকার ওই সড়কটির অনেক দিন ধরেই বেহাল অবস্থা। বহু বছর যাবৎ কোন উন্নয়ণমূলক কাজ না করায় এমন দশা রাস্তাটির। এমত অবস্থায় কি করে মানুষ একটি এলাকায় বসবাস করতে পারে? প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, তক্কারমাঠ থেকে শুরু করে শেহাচর মসজিদ পর্যন্ত সড়কটি ব্যবহার করে মসজিদ, দোকান, স্কুল ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। বৃষ্টি হলেই রাস্তা নিচুঁ হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে সেখানে পানি জমে যায়। তার সাথে কাদাঁ, ময়লা তো রয়েছেই। বালু দিয়ে ভরা রাস্তাটি ফলে সারাদিন বালু উড়তে থাকে ওই এলাকায়। আর তাই চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় স্কুলের শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসল্লীগন এমনকি শিল্প কারখানার শ্রমিক ও জনসাধারনের।
বর্তমানে যে পানি নিস্কাসন ও পয়নিস্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে তা অপর্যাপ্ত ও নিম্নমানের, যা গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিত ভাবে। এগুলো মেরামত, রক্ষনাবেক্ষণ, পরিস্কার ও রাস্তার কোন কাজ না করার ফলে ওই এলাকাবাসীর জনদূর্ভোগের অন্যতম কারন হয়ে দাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের দায়িত্বহীনতা, আন্তরিকতা ও কার্যকর কোন উদ্যোগ না থাকার ফলে মানুষের দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে রাস্তাটিতে। দীর্ঘদিন ধরে এমন বেহাল অবস্থা থাকার পরেও কৃর্তপক্ষ সড়কটির সংস্কারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও বহু বছর ধরে এ সড়কটির এমন বেহাল দশা কিন্তু দেখার নেই কেউ। সড়কটি দিয়ে চলাচল করা যায়না। এ এলাকাতে বিশেষ করে শিল্প কারখানা বেশী থাকায় সারাদিন এমনকি মধ্য রাত পর্যন্ত মানুষের পদচারণায় মুখর থাকে রাস্তাটি। রাস্তাটিতে পানি, কাদাঁ ছাড়াও বড় গর্ত থাকায় ভারী যানবাহন তো দূরে থাক রিক্সাও চলাচল করতে পারেনা। মোটকথা এ রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। প্রতিনিয়তই ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
কৃর্তপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে ঐ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দারা জানান, আমরা অনেকবার কৃর্তপক্ষকে এ রাস্তা সম্পর্কে অবগত করেছি এবং অনেক বার জানিয়েছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। আমাদের কথার কোন মূল্যয়ন করা হয়নি। এই রাস্তাটি জনসাধারণের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ন । কারন এখানে স্কুল, মাদ্রাসা ছাড়াও বেশ কয়েকটি গার্মেন্টস রয়েছে। যার ফলে সারাদিন এই রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচল করে। মোট কথা সারাদিনব্যাপি মানুষের পদচারনায় এই রাস্তাটি মুখর থাকে। তাই সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে এলাকাবাসীর আবেদন, অতি শীঘ্রই যেন এই রাস্তাটির দিকে একটু নজর দেয়া হয় এবং পুরো রাস্তাটির সংস্কার করা হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলের (এলজিইডি) সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী এ বি এম খোরশেদ আলমকে মুঠোফোন করা হলে তিনি দৈনিক সংবাদচর্চার নিজস্ব প্রতিবেদককে বলেন, তক্কারমাঠ এলাকার অনেক রাস্তার কাজ আরসিসিতে করা হয়েছে। শেহাচর এলাকার সড়কটির কাজও করা হবে। ঐ রাস্তার টেন্ডার হলেই অতি শীঘ্রই রাস্তার কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে তিনি জানান।